শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষা উন্নয়নের চাবিকাঠি। শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি উন্নতির স্বর্ণশিখরে আরোহণ করতে পারে না। এই মহৎ উদ্দেশ্যেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল পুলিশ লাইন মাধ্যমিক বিদ্যালয়। ১৯৫২ সাল থেকে শিক্ষার মহান ব্রতে নিয়োজিত এই প্রাচীন বিদ্যাপীঠ দক্ষিণবঙ্গের শ্রেষ্ঠত্বের সীমানা ছাড়িয়ে সারাদেশে সুখ্যাতি অর্জন করেছে। বিদ্যালয়ের এই সাফল্যে আমি গর্বিত ও অভিভূত।
প্রতিবছরের ন্যায় এবারও বিদ্যালয় বার্ষিকী প্রকাশিত হতে যাচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। শিক্ষার্থীদের মন ও মানস গঠনে বিদ্যালয় বার্ষিকীর ভুমিকা অনস্বীকার্য। সাহিত্য চর্চা ও জ্ঞান পরিচর্যার উৎকৃষ্ট মাধ্যম হলো বার্ষিকী। ছোট ছোট কোমলমতি ছেলে-মেয়েদের মেধা বিকাশে বার্ষিকী পালন করে অনন্য ভূমিকা। বস্তুত বার্ষিকী হলো সমগ্র বিদ্যাপীঠের দর্পণ স্বরূপ।
বর্তমান বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় উন্নয়নের মহাসড়ক ধরে। উন্নতি ও অগ্রগতির এই ধারা ধরে রাখতে পারে সুযোগ্য ও সুদক্ষ নাগরিক। বর্তমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের চাই স্মার্ট দেশ তথা স্মার্ট নাগরিক। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আমাদের স্মার্ট সন্তানরাই গড়ে তুলবে সোনার বাংলাদেশ।
বার্ষিকী প্রকাশ দুরূহ কাজ। যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এই মহতি কাজ সুসম্পন্ন হয়েছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এই শুভলগ্নে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি বিদ্যালয় পরিচালনা , শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকবৃন্দকে। প্রিয় শিক্ষার্থী ছেলে-মেয়েদের জন্য রইলো আমার ফল্গুধারা স্নেহ।
আমার সোনার বাংলা। সুজলা, সুফলা, শস্য-শ্যামলা। দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ মাঠ। আকাশ জুড়ে তারার হাট। উত্তরে ধূ ধূ বালুচর আর দক্ষিণের প্রান্ত ছুয়ে উত্তাল নীল সাগর। সর্বত্রই রূপ। রূপের মাধুরিমায় গরীয়ান আমার প্রিয় জন্মভূমি।রূপসী বাংলাদেশী এদেশের মানুষকে চিরকাল করে তুলেছে কবি। তাই তাদের মুখে থাকে গান,সুরে থাকে প্রাণ। এদেশের সর্বত্রই সর্বকালেই চর্চিত হয় সাহিত্য, গল্প, গীত, নাট্য, ছড়া ও ছন্দ। সাহিত্যের এক চিরন্তন উর্বর ভূমি আমাদের এই জনপদ। শিল্প আর সংস্কৃতি আমাদেরকে করেছে শক্তিশালী।এই শক্তি আর সাহসের প্রেরণা নিয়েই আমরা লড়েছি রাজপথে ও রণাঙ্গণে। সংগ্রামে ও শান্তিতেআমরা থেকেছি দুর্জয়। এক রক্ত রঞ্জিত মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে আমাদের সূর্য সন্তানরা ছিনিয়ে এনেছে এদেশের স্বাধীনতা।স্বাধীনতা মানুষকে দেয় নব নির্মাণের সুযোগ। দেশ-সমাজ-রাষ্ট্র-অর্থনীতি-সংস্কৃতি নতুন করেগড়ার জন্য আমাদের চাই সোনার মানুষ। এই সোনার মানুষ তৈরি করতে পারে একমাত্র শিক্ষা ওসাহিত্য। এই মহৎ লক্ষ্য সামনে রেখে আমরা প্রতিবছর প্রকাশ সাহিত্য বার্ষিকী। শতপ্রতিকুলতাকে অতিক্রম করে এ বছরও তা প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। আমাদের ফুলকুড়িছেলেমেয়েদের হাতেই ফুল ফুটেছে সাহিত্যের সকল শাখায়। তাদেরকে ফুলঝুরি অভিনন্দন।শিক্ষক-শিক্ষিকা গণের লেখাগুলো অত্যন্ত সময়য়োপযোগী ও সাহিত্য রসপূর্ণ। তাদেরকে জানাইআন্তরিক শুভেচ্ছা।
বিদ্যালয়ের সার্বিক কর্মকান্ডে সর্বদাই নেতৃত্ব দেন সম্মানিত সভাপতি মহোদয়। বার্ষিকীতেও তারব্যতিক্রম হয় নি। স্যারের কাছে আমরা সবিশেষ কৃতজ্ঞ। পরিচালনা পর্ষদের সুযোগ্য সদস্যগণেরঅনুপ্রেরণা ও সার্বিক সহযোগিতা আমি স্মরণ করছি শ্রদ্ধাভরে। সম্পাদনা পর্ষদের নিরন্তর পরিশ্রমও প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই। সম্মানিত অভিভাবকগণকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি সার্বক্ষণিক সমর্থন ওসহযোগিতার জন্য। পরিশেষে সুধীজন সমীপে একান্ত নিবেদন- ভুলত্রুটি গুলো ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতেদেখবেন।
সবার সুস্বাস্থ্য ও সুন্দর শান্তিময় জীবন কামনা করছি।